এই পর্বে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর একটি ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে যেখানে তিনি কিয়ামতের বড় আলামত বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও এই পর্বে ঈসা (আঃ) এর সম্পর্কে কিছু হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে।
এই পর্বে উম্মে সালামা, জাবের, আবু সাঈদ খুদরী এবং হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে থেকে কিছু হাদীস উদ্ধৃত করে কিয়ামতের বড় আলামত সম্পর্কে জানা যায়।
এই পর্বে মাহদী আগমনের ব্যাপারে সহীহ হাদীছ উল্লেখ করা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর বর্ণনামূলক হাদীছ থেকে মাহদীর আগমন সম্পর্কে জানা যায়। এছাড়াও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বক্তব্য থেকে মাহদীর আগমন সম্পর্কে জানা যায়।
ইমাম মাহদীর আগমন কিয়ামতের সর্বপ্রথম বড় আলামত। তিনি আগমণ করে এই উম্মাতের নের্তৃত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। ইসলাম ধর্মকে সংস্কার করবেন এবং ইসলামী শরীয়তের মাধ্যমে বিচার-ফয়সালা করবেন। পৃথিবী হতে জুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দিবেন।
আশুরার দিন সম্পর্কে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রথা উদযাপন করা হয় কিন্তু এর কোনো হাদিস বর্ণিত নেই এবং এই প্রথাগুলো সত্য নয়। এছাড়াও আশুরার দিনকে বিভিন্ন শোকগাথা হিসাবে গ্রহণ করা হয় যা মিথ্যা ও জাল। এই প্রথাগুলো মুসলমানদের পরস্পরে যুদ্ধ ও দুশমনি সৃষ্টির পায়তারা এবং পূর্ববর্তী পূন্যাত্মা সাহাবিদের গালমন্দ করার উপাদান।
এই পোস্টে মুহররম মাসে আশুরার রোজা রাখার নিয়ম এবং ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবেন। আশুরার রোজা সকল সগিরা গুনাহের কাফ্ফারা এবং এটি মুস্তাহাব ফরজ নয়। এছাড়াও পোস্টে আশুরার রোজা কোন ধরনের পাপের জন্য কাফ্ফারা জানতে পারবেন।
আশুরার দিনের রোজার ফজিলত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ অনুযায়ী আশুরার দিনে রোজা রাখা মুস্তাহাব। এছাড়াও নবম দিনের রোজা রাখা ও মুহররম মাসে রোজার সংখ্যা বাড়ানো যায়।
মুহররম মাসে নফল রোজার ফজিলত এবং আশুরার দিনের মর্যাদা আল্লাহর দান ও ইহসানের উপর নির্ভরশীল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার দিনে রোজা রেখেছেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুহররম একটি মহান বরকতময় মাস এবং এটি আশহুরে হুরুম সম্বদ্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন। এই মাসসমূহে নিজদের উপর কোন জুলুম করা না উচিত। মুহররমকে মুহররম বলে অভিহিত করা হয়েছে কারণ এটি অতি সম্মানিত। আল্লাহ তাদের সম্মান প্রদর্শন করেছেন যাদের সম্মানিত করেছেন।
একজন মুসলিমের উপর ওয়াজিব হল, তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাধ্যমত আল্লাহর বিধানের সুতরাং মনে রাখতে হবে। আল্লাহর বিধান না থাকলে সেখানে বাধ্যবাধকতা নাই। আল্লাহর জমিনে যে বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে, তা হল, তাওহীদ। একাকীত্ব অবলম্বন করা মানুষের সাথে সংমিশ্রণ হতে অতি উত্তম। একজন মুসলিম কোন নির্জন স্থানে গিয়ে দুনিয়ার সব মানুষ থেকে দূরে সরে একা হয়ে যাবে এবং সেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইবাদত বন্দেগী করবে।