আপনার সন্তানকে নামাজের নির্দেশ দিন পর্ব 2 অনেকে সন্তানের ঘুম ভাঙ্গানোকে ভালোবাসার অন্তরায় ভেবে এ ব্যাপারে উদাসীনতা দেখান। তারা কি জানেন, সাহাবীদের বাণী হিসেবে অনেক সময় বলা হয়ে থাকে, কিয়ামতের দিন সন্তানরা পিতামাতার পেছনে লেগে থাকবে। তারা চিৎকার করে বলবে, হে পিতা, আপনি আমাকে ধ্বংস করেছেন কেন?!! তারপরও কিভাবে পিতা-মাতারা কলিজার টুকরা সন্তানদের জাহান্নামের জ্বালানি হিসেবে বেড়ে উঠতে দেন?!! বরং তারা জাহান্নামে পৌঁছার সব সামগ্রী তাদের জন্য ক্রয় করে দেন। এমনটি হবার কারণ সাধারণ পিতা-মাতার ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা আর যারা ইসলাম সম্পর্কে জানেন, তাদের ইসলামের নির্দেশনা মতো সন্তানের লালন-পালন সম্পর্কে না জানা। এর সিংহভাগই সন্তানের প্রতি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে। এ কারণেই পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক দায়িত্ব, যা সীমাহীন গুরুত্বের দাবি রাখে। তাই মুসলিম নর-নারীকে এ দায়িত্বের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত। মুসলিম বিদ্যালয়গুলোর কর্তব্য আগামী প্রজন্মকে এ দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা। তাদেরকে এ দায়িত্বের সঙ্গে যথাযথভাবে পরিচিত করা। কখন সন্তানকে সালাতের নির্দেশ দেয়া হবে ১. সাবরা বিন মা‘বাদ জুহানী থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘বাচ্চাদের সালাতের নির্দেশ দাও, যখন তাদের বয়স হয় সাত বছর এবং যখন তাদের বয়স দশ বছর হয় তখন এ জন্য তাদের প্রহার করো।’ (আবূ দাউদ : ৪৯৪) ২. আমর বিন শুয়াইব তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের সাত বছর হলে তাদের সালাতের নির্দেশ দাও, তাদের বয়স দশ বছর হলে এ জন্য তাদের প্রহার করো এবং তাদের পরস্পরে বিছানা পৃথক করে দাও।’ (আবূ দাউদ : ৪৯৫; মুসনাদ আহমদ : ৬৬৮৯)

Теги других блогов: ইসলাম সন্তান নামাজ